সর্বোচ্চ নেতার হজ্জবানী সর্বোচ্চ নেতার হজ্জবানী সর্বোচ্চ নেতার হজ্জবানী بعثه مقام معظم رهبری در گپ بعثه مقام معظم رهبری در سروش بعثه مقام معظم رهبری در بله
সর্বোচ্চ নেতার হজ্জবানী সর্বোচ্চ নেতার হজ্জবানী সর্বোচ্চ নেতার হজ্জবানী সর্বোচ্চ নেতার হজ্জবানী সর্বোচ্চ নেতার হজ্জবানী

সর্বোচ্চ নেতার হজ্জবানী

والحمدللّه ربّ العالمین و صلّی اللّه علی رسوله الکریم الامین، محمّد خاتم النّبیّین، و علی آله المطهّرین سیّما بقیّة اللّه فی الارضین، و علی اصحابه المنتجبین و من تبعهم باحسان الی یوم الدّین.

১৪/৫/১৩৯৮ (৫/৮/২০১৯)


بسم‌اللّه‌الرّحمن‌الرّحیم


والحمدللّه ربّ العالمین و صلّی اللّه علی رسوله الکریم الامین، محمّد خاتم النّبیّین، و علی آله المطهّرین سیّما بقیّة اللّه فی الارضین، و علی اصحابه المنتجبین و من تبعهم باحسان الی یوم الدّین.


প্রতি বছর হজ্জের মৌসুম, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তার বান্দাদের জন্য আশীর্বাদ। পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করা হয়েছে « وَ اَذِّن فِی النّاسِ بِالحَج»(এবং মানুষের মধ্যে হজ্জের ঘোষণা করে দাও)   ইতিহাস জুড়ে এই আমন্ত্রণটি মহান আল্লাহর একটি রহমত। এই রহমতের ফলে ধার্মিক হৃদয় ও আত্মা এবং যুক্তিযুক্ত চিন্তা উপকৃত হয়। প্রতি বছর হজ্জের শিক্ষাসমূহ হাজিদের মাধ্যমে ইসলামিক বিশ্বের জনগণদের নিকটে পৌছায়।


হজ্জের যিকিরসমূহ ও উপাসনা যা ব্যক্তি ও সমাজ গঠন ও অগ্রগতির মূল উপাদান। হজ্জে বিশ্বের মুসলমানেরা একত্রিত হয়, আর এটি উম্মতের ঐক্যের প্রতীক। হজ্জে হাজিদের মধ্যে সাধারণত কোন প্রকার বৈষম্য পরিলক্ষিত হয় না, এটি বৈষম্য দূরীকরণ এবং সুযোগসমূহ সাধারণীকরণের লক্ষণ। হজ্জ, ইসলামী সমাজের মূল ভিত্তিগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ। হজ্জের প্রত্যেকটি আমল এহরাম বাধা, তাওয়াফ করা, সায়ি, উকুফ এবং রামি (পাথর নিক্ষেপ করা)সহ অন্যান্য আমলসমূহ হাজিগণ স্বয়ং নিজে আঞ্জাম দেন, যা ইসলাম তার অনুকূল সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারণ করেছে।


হজ্জের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ্জে যাওয়া হাজিদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময়, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রসারিত করা এবং একে অপরের পরিস্থিতি জেনে রাখা। এছাড়াও এর মাধ্যমে হাজিগণ নিজেদের মধ্যে ভ্রান্তি ধারণাগুলো দূর করে পারস্পরিক হৃদয়কে নিকটবর্তী করেন যা গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ও কৃতিত্ব। এই অর্জন ও কৃতিত্ব অন্য কোন সাধারণ অনুষ্ঠান থেকে অর্জন করা সম্ভব নয়।


বাড়ায়াত অর্থাৎ যে কোন সময়ে সমস্ত নিষ্ঠুরতা ও নিপীড়ন, কদর্যতা ও দুর্নীতির প্রতি ঘৃণা পোষণ করে সকল অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে রুখে দাঁড়ানো। এটি হজ্জের একটি মহৎ বরকত এবং মজলুম জনতার জন্য একটি বড় সুযোগ। বর্তমানে শিরক ও কুফর যার শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা, আর এর বিরুদ্ধে বাড়ায়াত প্রচলন করতে হবে। অর্থাৎ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ সৃষ্টি করে নিরীহ ও মজলুম মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করছে। আর এর বিরুদ্ধ ঘৃণা পোষণ করে প্রতিবাদ করতে হবে। বর্তমানে গঠিত হওয়া বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেমন: দায়েশ (আইএস) এবং আমেরিকার ব্ল্যাকওয়াটারের বিরুদ্ধে নিন্দা পোষণ করা। বাড়ায়াত অর্থাৎ শিশু হত্যাকারী যায়নবাদী এবং তাদের শাসনব্যবস্থাকে যারা সমর্থন ও সাহায্য করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। বাড়ায়াত অর্থাৎ পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার সংবেদনশীল অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধ সহায়ক এবং তাদের সহায়তাকারীদের নিন্দা জানানো। এসকল দেশে যুদ্ধ সৃষ্টি হওয়ার ফলে জনগণরা দুর্ভোগের শীর্ষে পৌঁছেছে এবং দৈনিক তাদের উপর ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। বাড়ায়াত অর্থাৎ বর্ণবাদী ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। ইসলাম, এসকল অন্যায় ও অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।


এগুলো ইব্রাহিমী হজ্জের কিছু অংশ যা খাঁটি ইসলাম আমাদেরকে আহ্বান করেছে। এটি এমন একটি প্রতিমূর্তির প্রতীক যা ইসলামী সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ। যা প্রতি বছর মুসলিম জনগণের দ্বারা হজ্জ পরিচালকদের মধ্যমে পরিলক্ষিত হয় এবং অলঙ্কৃত ভাষায়, সকলকে এমন একটি সমাজ গঠনের জন্য প্রচেষ্টা করার আহ্বান জানায়।


ইসলামী বিশ্বের বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ, যার কিছু অংশ বর্তমানে হজ্জ পালন করছেন, তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও বিপজ্জনক দায়িত্ব রয়েছে। এই শিক্ষাগুলো তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশের জনগণের মধ্যে প্রচার ও বিস্তার ঘটাতে হবে। সকলের মধ্যে আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা, অনুপ্রেরণা, অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান বিনিময় করতে হবে।


ফিলিস্তিনের ইস্যুটি বর্তমানে ইসলামী বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই বিষয়টি প্রত্যেক ধর্ম, বর্ণ এবং জাতির সাথে মুসলমানদের রাজনৈতিক ইস্যুর শীর্ষে অবস্থান করছে। বিগত কয়েক শতাব্দীর মধ্যে ফিলিস্তিনে বৃহত্তম নিষ্ঠুরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এই বেদনাদায়ক ইভেন্টে, একটি জাতির সমস্ত কিছু - জমি, বাড়ি, খামার, সম্পত্তি, মর্যাদা এবং পরিচয় - বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় এই জাতি পরাজয়কে মেনে নেয়নি এবং বিন্দু মাত্র পিছু পা হয়নি। ফিলিস্তিনিরা পূর্বের তুলনায় বর্তমানে আরও শক্তিশালী ও সাহসী হয়েছে। তবে এর ফলাফলের জন্য সকল মুসলমানদের সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে। অত্যাচারী আমেরিকা এবং তাদের বিশ্বাসঘাতক সহযোগীদের দ্বারা পরিচালিত শতাব্দীর চুক্তির কৌশলটি শুধুমাত্র ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে নয়; বরং মানবসমাজ বিরুদ্ধে একটি জঘন্য অপরাধ এবং চক্রান্ত। তাদের এই চুক্তির বিরুদ্ধে আমরা সকলকে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শত্রুদের দাম্ভিকতা এবং চক্রান্তকে নিন্দা জানায় এবং তাদের সকল চক্রান্তকেই আমরা পরাজিত করবো।


قال اللّه العزیز: اَم یُ‍ریدونَ کَیدًا فَالَّذینَ کَـفَروا هُمُ ال‍مَکیدون.  صدق اللّه العلیّ العظیم


মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন: অথবা তারা কি কোন চক্রান্ত করতে চায়? (স্মরণ রেখ) অবিশ্বাসীরাই চক্রান্তের শিকারে পরিণত হবে।


সম্মানিত সকল হাজিদের সমৃদ্ধি, রহমত, সাফল্য এবং ইবাদত কাবুলের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করি।


 


সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী


 


১৪ই মোরদাদ, ১৩৯৮ (৩য় জ্বিলহজ, ১৪৪০ বা ৫ম আগস্ট ২০১৯)


 


 


| شناسه مطلب: 95647




بنگالی



نظرات کاربران